কোম্পানির নামঃ খানিদানি – Food Delivery Startup
ক্ষতির পরিমাণঃ প্রায় ১ কোটি টাকা।
গল্পটা অনেক লম্বা, একটু টাইম নিয়ে পড়তে হবে, অনেক মজার এক্সপেরিন্স আর শেখার মত অনেক কিছু আছে। বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়দের হিংসা, ঈর্ষা কিভাবে একটা পটেনশিয়াল নষ্ট করতে পারে তার একটা উদাহরণ আছে। তাছাড়া পুলিশি ঝামেলাসহ স্টার্টআপ এর ব্যাপারে আমার শিক্ষা গল্পের শেষে লিখে দিয়েছি। আর এইটাই আমার শেষ ফেইলিয়ার এর গল্প।
.
.
১…
২০১৮ সাল। আজ থেকে ৬ বছর আগে সিলেটে একটা মার্কেটিং এজেন্সি তে জব করতাম। HSC পরীক্ষার পরেই চাকরি পেয়ে যাই। পরে আমার রেফারেন্সে আমার ফ্রেন্ড সাজনও ওই কোম্পানি তে জয়েন করে। তখনও আমি ভার্সিটিতে ভর্তি হই নাই। দুইজনেই স্কুল লাইফ থেকে টুকটাক বিজনেস করায় স্কিল ভাল ছিল। সহজেই চান্স পেয়ে যাই।
কোম্পানিতে বেতন নিয়ে মারাত্মক সমস্যা করতো। তাছাড়া ইন্টারনাল অনেক বিষয় নিয়ে আমি প্রায় সময় ত্যক্তবিরক্ত থাকতাম। এই বেতন সমস্যাটা আরেক আজব কাহিনীর জন্য ছিল। ওই গল্প আরেকদিন করব।
তো একদিন দুইজন মিলে চিন্তা করি আমাদের নিজেদের কিছু একটা করা দরকার, ঘুরে ফিরে আমরাই ওদের সব কাজ করতেছি, আবার বেতন ও ঠিকমত পাচ্ছি না, এর থেকে নিজেরা কিছু করলে অনেক ভাল করতে পারব।
২০১৮ এর মাঝামাঝি সময়ে আমরা নিজেরা মার্কেটিং এজেন্সি করার সিদ্ধান্ত নেই, একটা কাস্টমার ও জোগাড় করে ফেলি। এজেন্সির নাম ঠিক করা নিয়ে আমরা একদিন মীটিং ঠিক করি। ওইদিন অনেক রাত হয়ে যায় ফিরতে।
দুইজনই এক রিকশায় করে ফিরছি, রাস্তায় ল্যাম্পপোস্টে আলো নাই, শুধু পূর্ণিমার আলোতে রাস্তা যতটুক দেখা যায়, হঠাত ছিনতাইকারি বাইকে করে এসে আমার মোবাইলে এ টান দেয়। কপাল ভাল নিতে পারে নাই। ওই ঘটনার রেশ ধরে আমরা কোম্পানির নাম দেই LunarDigit (নাম এর ইতিহাস আরও লম্বা, তাই স্কিপ করে গেলাম) ।
.
.
২…
২০১৮ সালের দিকে স্টার্টআপ ব্যাপারটা এত হাইপে উঠে নাই। আমরা নিজেরাও তখন জানি না ওইটা কি জিনিস। যেখানে জব করতাম সেখানে তারা ইংল্যান্ড এর রেস্টুরেন্ট এর মার্কেটিং করতো। ইংল্যান্ড এ দেখতাম অ্যাপ আর ওয়েবসাইট দিয়ে অর্ডার নিয়ে ফুড ডেলিভারি করে। সেখান থেকে আইডিয়া পাই ফুড ডেলিভারি সার্ভিস করা যেতে পারে, পরে খানিদানি নাম দিয়ে এজেন্সির আন্ডারেই শুরু করে দেই। অনেকটা সাবসিডিয়ারি টাইপ আরকি। খানিদানি এইটা একটা সিলেটী শব্দ। এইটার মানে হচ্ছে “খাবার দাবার”।
আমাদের সেভিংসএ কোনো টাকা ছিল না ইনভেস্ট করার মত, তাই বেতন এর টাকা থেকে কিছু কিছু ইনভেস্ট করে করে সার্ভিস দিচ্ছিলাম। একটা মোবাইল টাওয়ারের এর সার্ভার এর শেয়ার রুম নেই, মনে হয় ২-৩ হাজার টাকা ভাড়া ছিল। ওইখানে সবকিছু কোন রকম সেটআপ করি। একটা পুরাতন সাইকেল কিনি। একটা বক্স বানাই খাবার গরম গরম ডেলিভারি দেয়ার জন্য।
এজেন্সিতে মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট আর এই ফুড ডেলিভারি এই তিনটা সার্ভিস ছিল। ফুড ডেলিভারি সার্ভিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় এজেন্সি চলে নাই। LunarDigit ওইখানেই শেষ। পরে শুধু ফুড ডেলিভারিতেই নজর দেই।
.
.
৩…
আমার যতদূর মনে পরে তখন ফুডপান্ডা সিলেটে সার্ভিস শুরু করে নাই, তাই কাস্টমাররা এইসবে অভ্যস্ত না। একটা ফেইসবুক পেইজ ছিল ওইটা থেকে অর্ডার আসতো। আর ফোন কল। কোন অ্যাপ ছিল না। পারসোনাল প্রোফাইল, বিভিন্ন গ্রুপ এ পোস্ট দিয়ে যতটুকু মার্কেটিং করা যায় আরকি। একটা ছেলে কে রাখি ফুলটাইম, সে ডেলিভারি দিত।
রেস্টুরেন্টগুলা কমিশনে খাবার দিত না। আবার অগ্রিম ও দিত না। পকেট এর টাকা দিয়ে খাবার কিনে পরে ডেলিভারি দিতাম। ডেলিভারি চার্জটাই ছিল প্রফিট।
যাইহোক, অর্ডার বাড়ানর জন্যও মার্কেটিং দরকার, এত টাকা তখন ছিল না। পরে আরও টাকার জন্য অনলাইনে এ ফ্রীলান্সিং শুরু করে দেই, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজ করতাম। ওইখান থেকে অনেক টাকা আসা শুরু করে, অনেক বাস্ত হয়ে পড়ি। জব, ফ্রীলান্সিং, বিজনেস একসাথে চলা সম্ভব না। বিজনেস একটু অফ রাখি কিছু দিন। ফ্রীলান্সিং এ যখন সেলারি থেকে বেশি টাকা আশা শুরু করে, তখন আমরা দুইজন একসাথে চাকরি ছেড়ে দেই।
দুইজন দুইটা আলাদা কোম্পানি করি, আমি করি সফটওয়্যার কোম্পানি, আর সাজন করে মার্কেটিং কোম্পানি। সে মার্কেটিং আর ম্যানেজমেন্ট এ ভাল। আর আমি টেকনোলজি তে। দুইজন এর মিশন দুই রকম হওয়ায় আমরা আলাদা কোম্পানি করি। আমাদের খরচের পরে যে প্রফিট থাকত সেটা দিয়ে খানিদানি চালাব এমন ছিল প্লান।
.
.
৪…
সাল ২০২০। বিভিন্ন ঝামেলায় ১ বছর মাঝে চলে যায়। ফুডপান্ডা তখন মার্কেট এ চলে আসছে। মানুষজন ও ফুড ডেলিভারি ব্যাপারটা শিখে গেছে, রেস্টুরেন্ট গুলা কমিশনে অগ্রিম ফুড ও দিচ্ছে, যেটা আগে ছিল না।
স্টার্টআপ এর ব্যাপারে তখন আমরা জানা শুরু করি। অনেক বেশি যে জানি তা না। তবে ব্যাপারটা হাইপএ চলে আসছে পাঠাও এর কারণে। তাছাড়া কভিড এর সময় তাই আরও বেশি চলবে বিজনেস টা এইকারনে দ্রুত আবার শুরু করার ডিসিশন নেই।
যেহেতু ফুডপাণ্ডা অ্যাপ দিয়ে সব করতেছে, আমরাও ডিসিশন নেই অ্যাপ করব। আর স্টার্টআপ মডেলেই করব। ফুডপান্ডার মত মার্কেটিং করব। সেজন্য অনেক টাকা লাগবে। শুরু হল ইনভেস্টর খোঁজা।
সাজন এর চেনাজানা লোক বেশি, তাছাড়া এজেন্সি করে ভাল আয় করতে পারায় তার ভাল রেপুটেশন হয়। তার কিছু ফ্রেন্ড আর কাস্টমার ইনভেস্ট করতে রাজি হয়। প্রায় ২০ লাখ টাকার মত ইনভেস্টমেন্ট পাই।
লিগাল কাগজপত্রের ঝামেলা শেষ করে আমরা মহা খুশি, অ্যাপ থেকে শুরু করে, ডেলিভারি ব্যাগ, রাইডারদের টিশার্ট, অফার সব কিছু করি। সবখানে মার্কেটিং শুরু করি। অ্যাপ তখন কোনরকম করে তৈরি করা, প্রচুর প্রব্লেম ছিল অ্যাপ এ। তাও দিনে ১০০+ অর্ডার আসে। প্রায় ৩০ লাখ টাকা মনে হয় আয় হয়।
কিন্তু সব মার্কেটিং, অফার, লজিস্টিকস মিলিয়ে আমরা লসে চলে যাই। এইটা স্টার্টআপ এর জন্য এগুলা নরমাল। আগ্রেসিভে গ্রোথ করা দরকার। খরচ হবেই। আমাদের টার্গেট ছিল দ্রুত আরও ইনভেস্টমেন্ট নেয়ার। কিন্তু কভিড এর কারণে ইনভেস্টমেন্ট অনেক কম হচ্ছিল সবখানে। আমরা দেশি বিদেশি সবখানে চেষ্টা করতে থাকি।
আবারও টাকার জন্য আমাদের সার্ভিস অফ হয়ে যায়। চালানো যেত, কিন্তু বড় অদ্ভুত প্রব্লেম এ পড়ি। যদি আমরা ২০-৩০% অফার দেই তাইলে প্রচুর অর্ডার আসে। নাইলে ১০-২০ তা অর্ডার ও হয় না। তাই ক্যাশফ্ল ছিল না চলার মত।
.
.
৫…
সার্ভিস অফ থাকায় সাজন এর ফ্রেন্ড মনে হয় ভাবছিল আমরা কোম্পানি অফ করে দিছি। এর মধ্যে তার ফ্রেন্ড এর সাথে হয়ত সম্পর্ক একটু অবনতি হয়। ওই ফ্রেন্ড পরে বাকি সব ইনভেস্টরদের গোপনে মেনুপলেট করে। এবং সবাই মিলে একসাথে আমাদের থেকে টাকা ব্যাক চায়।
মজার ব্যাপার হল, এর মধ্যে আমরা বুঝতে পারি যে আমরা শেয়ার বিক্রির সময় কিছু ভুল করি। যার কারণে তারা অনেক বেশি টাকা পেয়ে যাচ্ছে আবার আমাদের বিদেশি ইনভেস্টমেন্ট নেয়ার সময় এইটা অনেক বড় প্রব্লেম হবে। যেটা এক বিদেশি ভেঞ্চার ক্যাপিটাল তাদের সাথে মিটিং এর সময় আমাদের হিন্টস দেয়।
তারা টাকা ফেরত চাওয়ার আগেই আমরা ডিসিশন নেই তাদের সাথে কথা বলে, পকেট থেকে কিছু টাকা প্রফিট দিয়ে তাদের শেয়ার আমরা কিনে নিব। কিন্তু এর মধ্যেই তারা এইসব ঝামেলা করে আমাদের পুলিশ পর্যন্ত নিয়ে যায়। তাদের কেউ একজন এর আত্মীয় পুলিশের উচ্চপদস্থ কেউ ছিল!
পুলিশ হম্বি তম্বি করে আসে আমাদের কাছে, কিন্তু চুক্তি নামা দেখে বুঝে যায় ওরা আমাদের সাথে উল্টা বাটপাড়ি করার চেষ্টা করতেছে। কারণ, চুক্তি অনুযায়ী লস এর ভাগ ওরা নেয়ার কথা। ওরা তা নিবে না।
পুলিশ পরে বলে যে আপনারা ভাল কাজ করতেছেন, চেষ্টা করেন এদের সরায়ে দেয়ার। এরা পরে মামলা করে ঝামেলা বাড়াবে। মামলা টিকবে না তবে দৌড়াদৌড়ি করা লাগবে। পুলিশ কে আমরা বলি যে, আমরা আসলে টাকা এমনিতেই দিতে চাইছিলাম লাভ সহ। এখন ওরাই লস করতেছে। তবে টাকা ফেরত দেয়ার জন্য ওরা বেশি সময় দিচ্ছিল না। পুলিশ এইখানে সময় বাড়ানোতে আমাদের হেল্প করে। বিনিময়ে কিছু নেয় নি। সব পুলিশ যে টাকা খায় না, এইটা একটা প্রমাণ পাইলাম।
যাইহোক, দুইজন মিলে পকেট থেকে টাকা সব ফেরত দেই। শেয়ার দুইজন সমান ভাগে চলে আসে। এর মধ্যে BYLC থেকে ইনভেস্টমেন্ট পাই। ICT Park এর কম্পিটিশন জিতি। অনেক জায়গায় নাম ধাম হয়। কোম্পানি লিমিটেড ও করা হয়ে যায়। মোটামুটি সার্ভিস চালু হয়। কিছু বাক্তিগত লোন, কিছু পকেট থেকেও ইনভেস্ট করে সার্ভিস কোন রকম চলে। তবে সিলেটে অফার ছাড়া মানুষ অর্ডার করছিল না। তাই ডিসিশন হয় সিলেট এর বাইরে দ্রুত শুরু করা যাক।
.
.
৬..
পর্যাপ্ত ফান্ড নাই, তার উপর একটার পর একটা ঝামেলা। মরিয়া হয়ে এক্সপানশন প্লান নিয়ে ইনভেস্টর খুজতেছি। পাচ্ছিলাম না। কোভিড অনেক বড় ঝামেলা হয়ে দেখা দেয় আমাদের জন্য।
হটাত একদিন সাজন এর এক আত্মীয় (কাজিন) প্রায় ১ কোটি টাকার মত ইনভেস্ট করবে বলে। উনি বিদেশে একটা বড় টেলিকম কোম্পানির বড় অফিসার। সাজন যখন উনাকে আপ্রচ করে তখন মূলত কিছু টাকা ধার দিতে বলে।
পরে উনার সাথে BYLC এর মিটিং হয় ইনভেস্টমেন্ট নিয়ে। আমরা চুক্তি নামা পাঠায় দেই। কিন্তু উনি উনার উকিল ব্যাস্ত হেন তেন বলে প্রায় ৮ মাস পার করে দেন। সাইন করেন না। কিন্তু টাকা ঠিকই পাঠায় দেন।
এই টাকা দিয়ে খানিদানি প্রপারলি লঞ্চ হয়। আমরা মোটামুটি ১ বছরের বড় প্লান নিয়ে কাজ শুরু করি।
প্লান অনুযায়ী, আমি চট্টগ্রাম চলে যাই খানিদানি সেটআপ করতে। আর অনেক টাকা সফটওয়্যার অ্যাপ, আরও কিছু অফার এ খরচ হয়। আমরা গ্রামিনফোন, SSLCommerz, Bkash এর সাথেও পার্টনারশিপ করি। সবকিছু ভাল চলছিল। কিছু প্লান কাজ করে নাই তাই আমরা আরও ভিন্ন কিছু প্লান সাজাই যাতে প্রফিট অন্ন খাত থেকেও আসে। যা এখন ফুডপান্ডা করতেছে এক একটা বড় অংশ তখন আমাদের শুরু করার প্লান ছিল।
একদিন সাজন এর ওই ভাই পুলিশ এর গাড়িতে করে অফিসে হাজির। পুলিশ এর এক বর কর্মকর্তা উনার বন্ধু। উনার গাড়িতে করেই আসছে। এসে উনি বলতেসে উনি যে সাজনকে টাকা ধার দিছে ওইগুলা কবে ব্যাক দিবে!!!! আমরা তো আকাশ থেকে পড়ছি! বলে কি! উনি এসে সাজনকে থ্রেট যে টাকা না দিলে উনি বড় ঝামেলা করবে। ওইদিনই কবে টাকা ফেরত দিবে তা ফাইনাল জানাইতে বলে।
এক তো কোন কাগজপত্র হয় নাই, প্রমাণ বলতে শুধু BYLC মিটিং। তার উপর সে বড় ভাই। টাকা তারে দিতেই হইত। তাই পরে সে সব টাকা ফেরত দিতে রাজি হয়।
সে অনেক কষ্টে টাকা ফেরত দেয়। আমার কাছে এত টাকা তখন ছিল না। বিজনেস এথিকস অনুযায়ী আমি বলি যে লস আমি ৫০% নিব। যদিও পুরো দায়ভার তার উপরে পড়ার কথা। তবে বিজনেস এ এইসব মেনে চললে জীবনে বরকত আসে, তাই পরে আমি পকেট থেকে ৫০% টাকা আস্তে আস্তে সাজনকে ফেরত দেই।
কথা হল ওই লোক এইটা কেন করল? ভাবতে পারবেন না সে চায় না তার পরিবারে তার থেকে কেউ বড় হোক!!! তাই এই কারণে, সে প্লান করে তার ভাই এর এত বড় ক্ষতি করেছে!!
.
.
৭..
যাইহোক, গল্প প্রায় শেষ। আমরা এর পরে আর ওই বিজনেস রান করিনি। যখন শুরু করি তখন আমরা জানতাম না যে লজিস্টিকস এর বিজনেস সবচেয়ে কঠিন এবং মানি হাংরি বিজনেস। সাহস করে শুরু করে দেই। অনেক হারাইছি, অনেক কিছু শিখছি, জানছি।
আমরা পুরদমে বড় বড় কোম্পানির মত বিজনেসটা চালাইছিলাম। অনেক বড় বড় জায়গায় আমাদের অ্যাক্সেস হয়। যদিও শেষটা ভাল হয় নি।
আমরা আমাদের আলাদা আলাদা বিজনেস নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল আছি এখন। তবে ভবিষ্যতে যদি এমন কোন আইডিয়া পাই যেটা মানুষের অনেক বড় সমস্যা সমাধান করবে, আর আমার সফটওয়্যার কোম্পানি আমার সাহায্য ছাড়াই চলবে, তখন স্টার্টআপ আবার করলেও করতে পারি। দেখা যাক। ইনশাল্লাহ।
——————
পুনশ্চঃ
স্টার্টআপ প্লান সবসময় খুব হাই ডিমান্ড এবং অনেক বড় ইন্ডাস্ট্রি টার্গেট করে করা লাগে। নাইলে ওইটা স্টার্টআপ হবে না। কারণ বিলিয়ন ডলার টার্গেট করা পসিবল হবে না।
স্টার্টআপ অবশ্যই কোন সমস্যার সমাধানের জন্য কাজ করবে, যা আগে কেউ করে নি।
স্টার্টআপ একটা প্রতিযোগিতা, যেখানে কম্পিটিটর আপনাকে অনবরত মেরে ফেলার চেষ্টা করবে। যেমন আমরা অপারেশন শুরু করার পড় ফুডপান্ডা ৫০% পর্যন্ত অফার দিয়ে দিছে সিলেট এর মার্কেট এ। যেখানে এত টাকা অফার দেয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।
আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব বা বড় বিজনেস করে নাই কোন দিন এমন লোক থেকে ইনভেস্টমেন্ট নেয়া থেকে দুরে থাকা উচিত। প্রয়োজনে কিস্তিতে ধার নিতে পারেন।
বিজনেসে পার্টনারদের মাঝে অবশ্যই নিঃস্বার্থ, বিশ্বাসপূর্ণ এবং সহযোগী সম্পর্ক থাকা লাগবে। তা না হলে আপনি নিজে জীবনে ভাল কিছু করতে পারবেন না, বরকত আসবে না। লস হইলে লস, লাভ হইলে আপনের ব্যাবহার যেমন থাকার কথা, লস হইলেও তেমন থাকা আবশ্যক।
Total app download was: 10,000+
Total registered user was: 9000+
Total registred restaurants was: 150+
Total completed orders was: 6000+